Normal Hair Loss and Hair Growth Stage | চুল পড়া কখন স্বাভাবিক এবং কোন ধাপে চুলের গ্রোথ হয়?

Hair Growth Stage

সত্যি করে বলেন তো, যেদিন আপনার চুল দেখতে সুন্দর দেখায়, সেদিন অন্যদিনের তুলনায় আপনি একটু বেশি আনন্দ ফিল করেন তাই না? আমরা সবাই চাই আমাদের চুল সবসময় সুস্থ ও মজবুত থাকুক। তাই চুল ভালো রাখতে আমাদের চেষ্টার শেষ নেই! কিন্তু হেয়ার গ্রোথের পর্যায়, অর্থাৎ হেয়ার গ্রোথ কীভাবে হয়, আমরা অনেকেই জানি না।

হেয়ার গ্রোথ বা চুলের বৃদ্ধি একটি ন্যাচারাল প্রসেস যার ৪টি ভিন্ন ভিন্ন ধাপ রয়েছে। প্রতিটি ধাপের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্যও আছে। তাই আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের কাছে হেয়ার গ্রোথের ৪টি পর্যায় সম্পর্কে আলোচনা করব। চুল সুস্থ রাখার জন্য কিছু সুপার কার্যকরী টিপসও থাকবে। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

আমাদের হেয়ার স্ট্রাকচার কেমন হয়?

হেয়ার গ্রোথ বা চুলের বৃদ্ধির পর্যায়গুলো ভালোভাবে বুঝতে হলে প্রথমে আমাদের চুলের গঠন সম্পর্কে জানতে হবে। আমাদের চুল কেরাটিন নামক এক ধরনের প্রোটিন দিয়ে তৈরি। চুলের বাইরের যে অংশটি সবাই দেখতে পায় তাকে শ্যাফট বলে এবং চুলের গোড়ায় থাকে ফলিকল। এই চুলের ফলিকলই চুলের বৃদ্ধির প্রধান কারণ।

এবার আসি চুলের মেইন স্ট্রাকচার নিয়ে। সাধারণত চুলের ৩টি অংশ থাকে।

১। কর্টেক্স

২। কিউটিকল

৩। মেডুলা

এগুলোর প্রধান অংশ হল কর্টেক্স। কর্টেক্সের কারণে চুলের স্থিতিস্থাপকতা স্বাভাবিক। কর্টেক্সে থাকা মেলানিনের কারণে আমাদের চুলের রঙ ভিন্ন হয়, যার অর্থ কারো চুল কালো, আবার কারো চুল বাদামী। কর্টেক্স ছাড়াও চুলের অন্য দুটি অংশ হল মেডুলা এবং কিউটিকল। মেডুলারি অবস্থান সবচেয়ে ভিতরের। আর কিউটিকল হল চুলের বাইরের দিকে একটি পাতলা স্তর, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করার পাশাপাশি সুরক্ষামূলক স্তর হিসাবে বিশেষভাবে কাজ করে থাকে।

Shop at Saajkonna.com

হেয়ার গ্রোথের ৪টি ধাপঃ

এখন আমি আপনাদের কাছে চুল বৃদ্ধির ৪টি ধাপ সম্পর্কে আলোচনা করবো। প্রথম 3টি পর্যায় হল অ্যানাজেন, ক্যাটেচিন এবং টেলোজেন, যা সরাসরি চুলের বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত। আর শেষ পর্যায়ে অর্থাৎ অক্সিজেন পর্যায়ে পুরনো চুল ঝরে পড়ে এবং নতুন চুল গজাতে শুরু করে। আসুন এই ধাপগুলি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ধাপ ১: অ্যানাজেন

অ্যানাজেন চুলের বৃদ্ধির প্রথম পর্যায়। এটি বৃদ্ধির পর্যায় বা সক্রিয় পর্যায় নামেও পরিচিত। আপনি জেনে অবাক হবেন যে আমাদের মাথার বেশিরভাগ চুল এই অ্যানাজেন পর্যায়ে থাকে।

  • এই পর্যায়টি ৩ থেকে ৫ বছর স্থায়ী হয়, যার অর্থ এই পর্যায়ে প্রতিটি চুল ৩ থেকে ৫ বছর ধরে বৃদ্ধি পায়।
  • এশিয়ানদের ক্ষেত্রে, এই পর্যায়ের সময়কাল কিছু ক্ষেত্রে 7 বছর।
  • তবে ভ্রু বা পিউবিক চুলের ক্ষেত্রে অ্যানাজেন পর্যায়ের সময়কাল এত দীর্ঘ হয় না।
  • এই পর্যায়ে চুলের ফলিকল থেকে ধীরে ধীরে চুল গজাতে শুরু করে এবং তারপরে এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে।
  • অ্যানাজেন পর্যায়ে চুল প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়।

ধাপ ২: ক্যাটাজেন

অ্যানাজেন পর্যায় শেষ হওয়ার পর, ক্যাটাজেন নামক চুলের বৃদ্ধির পর্যায় শুরু হয়। এই পর্যায়কে ট্রানজিশন স্টেজও বলা হয়। ক্যাটিচিন পর্যায়টি অ্যানাজেনের মতো দীর্ঘ নয়।

  • ক্যাটেশন পর্যায়ের সময়কাল মাত্র ১০ দিন।
  • এই পর্যায়ে ফলিকল সঙ্কুচিত হয় এবং চুল আলাদা হয়ে যায়।
  • এই পর্যায়ে চুলের বৃদ্ধি ধীর হয়ে যায়।

ধাপ ৩: টেলোজেন

তারপরে আসে টেলোজেন পর্যায়, এই চুলের বৃদ্ধির পর্যায়কে বিশ্রামের পর্যায়ও বলা হয়। এই পর্যায়ে, লোমকূপগুলি সাধারণত চুলের ফলিকলগুলি থেকে চুলকে আলাদা করে, একই ফলিকলে নতুন চুল গজাতে শুরু করে।

  • এর বৈশিষ্ট্য হল এই পর্যায়ে চুল গজায়, কিন্তু চুল পড়ে না
  • এই পর্যায়টি প্রায় ৩ মাস স্থায়ী হয়

ধাপ ৪: অক্সিজেন

টেলোজেন পর্যায়ের লোমগুলো অক্সিজেন পর্যায়ে আসার পর ঝরে পড়তে শুরু করে। তাই আপনি যখন এই পর্যায়ে এসে চুল আঁচড়াবেন বা গোসলের সময় চুল পড়া লক্ষ্য করবেন। তবে ভয়ের কিছু নেই। কারণ, নতুন চুল গজালে এই চুলগুলো পড়ে যায়।

  • সাধারণত এই পর্যায়ে একজন ব্যক্তির প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ চুল পড়ে।
  • এই পর্যায়টি ২ থেকে ৫ মাস স্থায়ী হয়।
  • তারপর ধীরে ধীরে আবার নতুন চুল গজাতে শুরু করে।

তাছাড়া প্রতিদিন ৫০-১০০ চুল পড়া স্বাভাবিক। মূলত এভাবেই চলে আমাদের চুলের বৃদ্ধির চক্র। আমি আশা করি চুলের বৃদ্ধির ৪টি ধাপ সম্পর্কে আপনার আর কোন বিভ্রান্তি নেই।

Shop at Saajkonna.com

কিভাবে চুল সুস্থ রাখা যায়?

হেয়ার গ্রোথ কীভাবে হয় সেটি তো জেনে নিলেন। এবার চুল হেলদি রাখার উপায়গুলো জানা যাক। ব্যস্ত জীবনে আমাদের দরকার ইজি ও শর্টকাট সল্যুশন, তাই না? চলুন তাহলে জেনে নেই।

১) নিয়মিত ডায়েটে চুলের পুষ্টি উপাদানগুলো এড করুন। চুল সুস্থ রাখতে ও গ্রোথ বাড়াতে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। এ ছাড়াও আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি, ডি, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদি উপাদান রাখতে হবে।

২) চুলের ধরন বুঝে সঠিক চুলের যত্নের পণ্য ব্যবহার করুন। বিশেষ চুলের ধরন অনুযায়ী ভালো মানের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল সুস্থ থাকে। নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে প্যারাবেন ফ্রি, সালফেট ফ্রি, মাইল্ড বা হার্বাল শ্যাম্পু বেছে নিন।

৩) সপ্তাহে এক বা দুবার তেল দিয়ে মাথার ত্বক ম্যাসাজ করা এবং হেয়ার মাস্ক লাগানোও জরুরি। চুলের সমস্যা থাকলে Disaar Argan Oil Daily Repairing Hair Oil ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এতে রয়েছে নারকেল তেল, পেঁয়াজের তেল, মেথি, অলিভ অয়েল, কালোজিরা এবং আরও অনেক উপাদান যা চুলের ফলিকলকে মজবুত করে এবং চুলকে নরম ও চকচকে করে।

৪) শ্যাম্পু করার সময় চুলে সরাসরি গরম পানি ব্যবহার না করাই ভালো। আর শ্যাম্পু করার পর কখনোই ভেজা চুল আঁচড়াবেন না, কারণ এতে চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৫) চুলের স্টাইল করার বিভিন্ন সরঞ্জাম, যেমন হেয়ার স্ট্রেইটনার বা কার্লার ব্যবহার করার সময়, একটি ভাল মানের হিট প্রোটেক্টর স্প্রে বা সিরাম ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

৬) আপনার চুল সুস্থ রাখার টিপস হিসাবে, আমি আপনাকে শেষ পর্যন্ত বলব যতটা সম্ভব চাপমুক্ত থাকুন। কারণ আপনি যত বেশি স্ট্রেস মুক্ত থাকবেন, আপনার চুল তত কম পড়বে। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

আপনি ব্যবহারের জন্য খাঁটি পণ্য কোথায় পাবেন?

খাঁটি চুলের যত্নের পণ্যগুলির জন্য আমার সবচেয়ে বিশ্বস্ত জায়গা হল সাজকন্যা। সাজকন্যাতে আপনি চুলের ধরন অনুযায়ী সেরা মানের চুলের যত্নের পণ্য পাবেন। তাই কসমেটিক্স ওয়েবসাইট বা ফিজিক্যাল শোরুমে যেতে ভুলবেন না কিন্তু।

আমি আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য খুবই হেল্পফুল ছিল। মেকআপ আইটেম, বেবি কসমেটিক, ত্বকের যত্নের জন্য সকল ধরনের প্রোডাক্ট পেয়ে যাবেন সাজকন্যাতে। আপনি www.saajkonna.com থেকে অনলাইনে মেকআপ আইটেম, বেবি কসমেটিক, ত্বকের যত্নের জন্য খাঁটি ও উন্নত মানের প্রোডাক্ট কিনতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Main Menu